পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে গম চাষিরা অকার্যকর সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার এবং অন্যায্য দাম নির্ধারণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছে। বুধবার শেইখুপুরা থেকে ডেরা গাজি খান পর্যন্ত বিক্ষোভ, অবস্থান ধর্মঘটের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবি, উৎপাদিত ফসলের জন্য ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বিক্ষোভের ফলে শেইখুপুরা এবং আশপাশের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জামায়াতে ইসলামি, কিসান ইত্তেহাদসহ কৃষক সংগঠন এবং বিরোধী দলগুলোও এই বিক্ষোভে যোগ দেয়। কৃষকরা অভিযোগ করছেন, সরকার তাদের ফসলের জন্য ন্যায্য মূল্য নির্ধারণে ব্যর্থ হয়েছে।
শেইখুপুরার হাজার হাজার একর জমিজুড়ে গম কাটার কাজ শুরু হয়েছে। কৃষকরা জানাচ্ছেন যে, প্রতি ৪০ কেজি গমের বাজারদর বর্তমানে ২২০০ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত কম। তারা আরও বলছেন, সার, বীজ, এবং কীটনাশকের পেছনে বিপুল ব্যয় করতে হয়, অথচ উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না।
কৃষক মুহাম্মদ আশরাফ জানান, ‘আমরা শুধু গম চাষের জন্য সার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছি। এখন আমরা খরচও তুলতে পারছি না।’ অন্যদিকে, কৃষক মুহাম্মদ নাসির সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবহেলার অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, শস্য ব্যবসায়ীরা ন্যায্য মূল্য দিতে অস্বীকার করছেন।
বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা সরকারকে অবিলম্বে গম ক্রয় ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার এবং ন্যায্যমূল্য নির্ধারণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলছেন।
এদিকে, কিসান বোর্ড পাকিস্তান (কেবিপি) জেলার শাখা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। কেবিপির জেলা সভাপতি হাজী আহমেদ ইয়ার ওয়ালানা নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন, কৃষি উপকরণের দাম বাড়ছে, তবে পণ্যের দাম কমে যাচ্ছে। তারা প্রতি ৪০ কেজি গমের সহায়ক মূল্য ৪,৫০০ টাকা, আখের দাম এবং কৃষি নলকূপের জন্য ভর্তুকিযুক্ত বিদ্যুৎ দাবি করেছেন।
তথ্য সূত্র: দৈনিক যুগান্তর অনলাইন