পাসপোর্ট ও ভিসাকেন্দ্রিক আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করতে এবং গ্রাহক হয়রানি কমাতে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি) এজেন্সি বা ভেন্ডর নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন পাসপোর্ট, রিইস্যু পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদনসহ সব ধরনের আবেদন সঠিক ও নির্ভুলভাবে পূরণে এসব এজেন্সি নির্দিষ্ট ফি গ্রহণ করে গ্রাহকদের সহায়তা করবে।
সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে অফিস স্থাপন করে এসব সেবা দেওয়া হবে। তবে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা বা অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে ডিআইপি।
সূত্রমতে, এখন ঘরে বসেই পাসপোর্টের জন্য আবেদন ও ফি প্রদান করা যাচ্ছে। এমনকি ভবিষ্যতে ঘরে বসেই পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পরিকল্পনাও করছে সরকার। শুধুমাত্র ছবি তোলা, চোখের আইরিশ স্ক্যান এবং আঙুলের ছাপ দিতে পাসপোর্ট অফিসে আসতে হবে গ্রাহকদের।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এক পরিপত্রে জানিয়েছে, এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্যের ভিত্তিতে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে। ফলে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট প্রাপ্তি নিশ্চিত হচ্ছে। এতে আবেদনকারীর হয়রানি কমে এসেছে এবং সময়মতো পাসপোর্ট সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে।
পরিপত্র অনুযায়ী, নতুন পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাইকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট দেওয়া হবে। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্যের ভিত্তিতে একই সুবিধা মিলবে।
পাসপোর্ট পুনঃইস্যুর সময় মৌলিক তথ্য পরিবর্তন হলে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুসরণ করে পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে দ্রুততম সময়ে সুপার এক্সপ্রেস সার্ভিসের আওতায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান সম্ভব হচ্ছে।
ডিআইপির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পূর্বে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার কারণে পাসপোর্ট সরবরাহে বিলম্ব হতো, যার জন্য গ্রাহকরা প্রায়ই পাসপোর্ট অফিসকে দায়ী করতেন। নতুন এই ব্যবস্থায় গ্রাহকসেবায় গতি এসেছে এবং নাগরিক অধিকার বাস্তবায়নের পথে একটি বড় অগ্রগতি হয়েছে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ
রুইট নিউজ ২৪ ঘণ্টা বাংলার খবর