রুইট নিউজ ২৪ ঘণ্টা বাংলার খবর
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার বক্তব্যে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করলেও জোর দিয়ে বলেন, এটি কখনোই জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নয়।
তারেক রহমান বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক কিংবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার—এ ধরনের বিশেষ পরিস্থিতির সরকার অবৈধ নয়। তবে এই সরকার কখনোই জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নয় এবং হতে পারে না।”
তিনি দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান কিংবা অন্য কোনো দেশ নয়—সবার আগে বাংলাদেশ। এটিই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।”
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও ক্ষমতায়নের গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপি নেতা বলেন, “বিএনপি বিশ্বাস করে, তৃণমূল জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব নয়। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার উপেক্ষা করে কোনো রাষ্ট্র উন্নত হতে পারে না। একটি দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে ওঠে তাদের শ্রম, ঘাম ও মেধার উপর।”
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের বিভিন্ন পর্যায়ে জনগণের ভূমিকা স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, “১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ৭৫-এর ৭ নভেম্বরের আধিপত্যবাদ মুক্ত বাংলাদেশ, ৯০-এর স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ—এই প্রতিটি ধাপে জনগণের সুমহান আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি বৈষম্যহীন, নিরাপদ, মানবিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।”
দেশবাসীর প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ, দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গণতন্ত্রপ্রিয় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কোনো উস্কানি বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। কারণ, অনৈক্য সুযোগ নিয়ে পরাজিত, পলাতক অপশক্তি যেন আর কখনো পুনর্বাসিত হতে না পারে—এই ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
তারেক রহমান দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের সফলতা কামনা করে তার বক্তব্য শেষ করেন।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ
