ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে আলোচিত জুলাই-আগস্টের সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত মো. ইসমাইলের মরদেহ মৃত্যুর ৯ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলামের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মো. ইসমাইলের মরদেহ তাঁর নিজ গ্রামের বাড়ি, বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার নতুনহাটি গ্রামের কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
মরদেহ উত্তোলনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার এ এইচ বাঁধন, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার এসআই আরিফুল ইসলাম, ঢাকার হাতিরঝিল থানার এএসআই জাকির হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্য এবং নতুনহাটি গ্রামের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
নিহত মো. ইসমাইলের স্ত্রী লাকি আক্তার বলেন, “গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে রওনা হন ইসমাইল। কিন্তু মসজিদে ঢোকার আগেই রামপুরার ডেল্টা হেলথ কেয়ারের সামনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং তাঁর নিথর দেহ দেখতে পাই।”
তিনি আরও বলেন, “পরদিন ২০ জুলাই আমরা তাঁকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নতুনহাটি কবরস্থানে দাফন করি। পরে আমি ঢাকার হাতিরঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা করি। এ মামলার তদন্ত শেষে হাতিরঝিল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. শফিউল আলম গত ৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ৫২ জনকে আসামি করে চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন।”
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার এসআই আরিফুল ইসলাম বলেন, “নিহতের মৃত্যুর পর কোনো ময়নাতদন্ত না করেই মরদেহ দাফন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণের জন্য আজ তাঁর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।”
৯ মাস আগের একটি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে মরদেহ উত্তোলন ও ময়নাতদন্তের এই উদ্যোগ বিচার প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পরিবারের দাবি ও আইনি প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে এটি ভবিষ্যতে মামলার অগ্রগতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ